এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ

চলতি বছরের স্থগিত এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে। ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১ অক্টোবর পর্যন্ত এসএসসির লিখিত পরীক্ষা চলবে। আর ১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে এসএসসির ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হবে। রোববার সন্ধ্যার এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করে ঢাকা বোর্ড।

রুটিন অনুসারে, ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র, ১৭ সেপ্টেম্বর বাংলা (আব্যশিক) দ্বিতীয়পত্র, সহজ বাংলা দ্বিতীয়পত্র, ১৯ সেপ্টেম্বর ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, ২০ সেপ্টেম্বর ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয়পত্র, ২২ সেপ্টেম্বর গণিত, ২৪ সেপ্টেম্বর পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ২৫ সেপ্টেম্বর গার্হস্থ্য বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়), কৃষি শিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা (তত্ত্বীয়), ২৬ সেপ্টেম্বর রসায়ন (তত্ত্বীয়), পৌরনীতি ও নাগরিকতা ও ব্যবসায় উদ্যোগ, পরদিন ২৭ সেপ্টেম্বর ভুগোল ও পরিবেশ, ২৮ সেপ্টেম্বর জীববিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) ও অর্থনীতি, ২৯ সেপ্টেম্বর হিসাববিজ্ঞান এবং ১ অক্টোবর উচ্চতর গণিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা শেষ করা হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে।

১০ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্ব স্ব কেন্দ্রে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হবে।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের ১৪ নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলোর মধ্যে আছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রের উল্লিখিত সময় অনুযায়ী শুরু হবে পরীক্ষা। প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না। বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে তিনদিন আগে সংগ্রহ করবে।

 

সব শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।

পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রে (ওএমআর) রোল, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।

পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল বা রচনামূলক, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে। পরীক্ষায় নন-প্রোগ্রামাবল সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।

কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে মোবাইল আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবে না। সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতিপত্র ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা স্ব স্ব কেন্দ্ৰ ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাতদিনের মধ্যে পুনর্নিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

জানা গেছে, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসির পরীক্ষায় চারটি বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ে মূল্যায়নের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের তিনটি বিষয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিং করে মূল্যায়ন করা হবে। এসএসসিতে যে বিষয়গুলোতে সাবজেক্ট ম্যাপিং হবে তা হলো, ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান। বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং বিজ্ঞান বিভাগভেদে বিভাজন হয়।

এসএসসিতে যেসব বিষয়ে পরীক্ষা হবে সেগুলো হলো, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত, জীববিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবসায় উদ্যোগ, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্ব সভ্যতা, ভূগোল ও পরিবেশ, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, অর্থনীতি, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এবং কৃষি শিক্ষা। বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগভেদে এসব বিষয় বিভাজন হয়। এসএসসি পরীক্ষার সময় হবে দুই ঘণ্টা। শুধু ইংরেজি প্রথম ও ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হবে ৫০ নম্বরে। বাকি ব্যবহারিক সম্বলিত বিষয়গুলোতে ৪৫ নম্বর ও ব্যবহারিক ছাড়া বিষয়গুলেতে ৫৫ নম্বরে পরীক্ষা হবে।

Check Also

শিক্ষা খাতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি আছি : শিক্ষামন্ত্রী

দেশে বিদ্যুতের সক্ষমতা যদি না থাকত তাহলে অনেক আগেই দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যেত। বিদ্যুৎ নিয়ে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *