ঘূর্ণিঝড় এগিয়ে আসায় সোমবার বেলা ১২টা থেকে সারাদেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল বিআইডব্লিউটিএ। প্রায় ২২ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টা থেকে লঞ্চসহ সারাদেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল শুরু হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সোমবার বিকেল ৩টা থেকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কক্সবাজার ও বরিশাল বিমানবন্দরে উড্ডয়ন বন্ধ ছিল।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিমানবন্দর ফের চালু করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ঝুঁকি কেটে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পূর্বাভাস, সতর্কবার্তা পৌঁছানো ও আগাম প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন,
পূর্বাভাস নিয়েও একেক সময় একেক বার্তা দেওয়া হয়েছে। আগে থেকে সতর্ক না করার কারণে মানুষ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারেনি। ফলে ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শেষ মুহূর্তে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটেছে মানুষ।
ঘূর্ণিঝড়ের নাম সিত্রাং কেন?
ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণে একটি কমিটি রয়েছে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার অধীন ওই কমিটিতে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারতসহ ১৩টি দেশ। ১৩ দেশের সংস্থার নাম এস্কেপ। সংস্থাটি ২০২০ সালেই ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করে রাখে।
সেই তালিকা থেকে এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয় ‘সিত্রাং’। এ নামটি থাইল্যান্ডের দেওয়া। যার ভিয়েতনামি অর্থ ‘পাতা’। আবার ‘সিত্রাং’ থাইল্যান্ডের মানুষের নামের পদবি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পর যেটি আসবে তার নাম হবে ‘মন্দোস’। এ নামটি দিয়েছে সৌদি আরব। মন্দোসের পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘মোচা’। এই নামটি দিয়েছে ইয়েমেন।
তবে সব ঝড়ই কিন্তু নাম পায় না। সমুদ্রে সৃষ্ট কোনো ঝড়ের গতিবেগ যখন ঘণ্টায় ৩৯ মাইলের বেশি হয়, তখন সেটির নাম দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৪ মাইল ছাড়িয়ে গেলে সেটি হারিকেন, সাইক্লোন বা টাইফুন হিসেবে ভাগ করা হয়।