চলতি বছর আগুন ঝরবে বলে ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। মার্চ মাস থেকেই হাতেনাতে মিলছে তার প্রমাণ। তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ট মানুষের জীবন। এর মধ্যেই আরও খারাপ খবর এল জাতিসংঘের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে, ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যেই বৈশ্বিক উষ্ণতা সর্বোচ্চ সীমা ছাড়িয়ে যাবে।
গ্রিনহাউজ গ্যাস ও এল নিনোর দাপটে আগামী দিনে তাপমাত্রার পারদ আরও চড়বে বলে সতর্ক করা হলো। এর আগে, ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আট বছরের সময়কাল উষ্ণতম বলে বিবেচিত হয়েছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে জলবায়ু পরিবর্তন যে গতিতে বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছেছে, তাতে সব হিসেব নিকেশ উল্টে গেছে।
কিন্তু আগামী দিনে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা নির্ধারিত এক দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যেই এমনটি ঘটবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। এমন হওয়ার আশঙ্কা ৬৬ শতাংশ।
জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি এই মুহূর্তে এল নিনোও ভাবাচ্ছে আবহবিদদের। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এর দাপট অনুভূত হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। চিলি, পেরু ও দক্ষিণ আমেরিকা সংলগ্ন প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী দেশগুলোতে এল নিনো দেখা যায়।
এর ফলে মহাসাগরের পানিরস্তরের তাপমাত্রা একধাক্কায় বেড়ে যায়। ফলে তেতে ওঠে উপকূলবর্তী বায়ুমণ্ডলও। প্রশান্ত মহাসাগরের সেই উষ্ণ স্রোত ছড়িয়ে পড়ে অন্যত্রও।
ফলে সমুদ্রের তলদেশ থেকে ঠান্ডা পানি উপরে উঠে আসতে পারে না। এতে সমুদ্রের পানিরস্তর ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ পায় না। এই এল নিনোর প্রভাবে তাপমাত্রা আরও ঊর্ধ্বগামী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।