বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশকে ঘিরে ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহন সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যান্য সময় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে যেখানে গণপরিবহনে ভিড় থাকতো আজ সেই চিত্র ছিল ভিন্ন। বাস কম থাকায় রাজধানীর রাজপথে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে রিকশা। এজন্য যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
যাত্রীদের অভিযোগ, গণপরিবহন সংকটকে কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন রিকশা চালকরা।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, শান্তিনগর, কাকরাইল, পল্টন, ফকিরাপুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা বাস সংকট দেখা গেছে। তবে এসব এলাকায় বিপুল রিকশা চোখে পড়েছে। অন্যান্য সড়কগুলোতেও চিত্র ছিল একই।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সড়কগুলোতে গাড়ির সংখ্যা অনেক কম। এজন্য সব যাত্রীকে গণপরিবহন সংকটে পড়তে হয়েছে। পাঁয়ে হেঁটে অনেকেই ছুটে যান নিজ গন্তব্যে। কাউবে কাউকে দূর যাত্রায় যাওয়ার জন্য রিকশায় যেতে দেখা গেছে।
মোহাম্মদপুর থেকে উত্তরা পর্যন্ত চলাচল করা পরিস্থান পরিবহনের চালকের সহযোগী আবির হোসেন বলেন, বাসে যাত্রীদের চাপ আছে। কারণ হিসেবে বলেন, আজ বাস অর্ধেকেরও কম থাকায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
ফার্মগেট এলাকায় বিহঙ্গ পরিবহনের চালক আসিফ বলেন, রাস্তায় নামতে ভয় লাগে। হুটহাট মিছিল আসে। ভাঙচুর হয়। সড়কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।
এদিকে বাস সংকটের কারণে পোয়াবারো অবস্থা রিকশা চালকদের। সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা বেশি ভাড়া আদায় করছেন।
বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করে চালকরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় এখন যাত্রী কিছুটা বেশি। তাই ভাড়াও কিছুটা বেশি।
টিএসসি এলাকায় আবুল হোসেন নামে এক রিকশাচালক বলেন, রাস্তায় আজ বাস কম। যাতায়াতে আরাম আছে। এদিক-সেদিক যেতে খুব একটা বেগ পেতে হচ্ছে না।
বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রীরা বাসের পথ রিকশায় যেতে চায়, দূরযাত্রায় ভাড়া কিছুটা বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক।
ঢাকা মেডিকেলের জরুরি এবং বহির্বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় রিকশার ব্যাপক উপস্থিতি। এসময় রোগী আনা নেওয়াসহ জরুরি কাজে বেরিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কেউ কেউ। এছাড়া মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।