অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ আগামী রোববার দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে এখনো দেশের অধিকাংশ এলাকার তাপমাত্রা বেশ উত্তপ্ত।
রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোখা শঙ্কা জাগালেও বৃষ্টি এনে দিতে পারে স্বস্তি। গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙামাটিতে, ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আলোচ্য সময়ে দেশের একটি জেলা বাদে বাকি সব জেলায়ই তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তার আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা ঘনীভূত হয়ে প্রথমে প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং পরে উত্তর দিকে সরে গিয়ে আরো ঘনীভূত হয়ে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় (১৩.১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮.০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে। শুক্রবার (১২ মে) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি জানান, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, সন্দ্বীপ, রাঙ্গামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও হাতিয়া অঞ্চলসহ ঢাকা, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরও বাড়তে পারে বলেও জানান ওমর ফারুক। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।