উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে কমছে রাতের তাপমাত্রা। শীতের আমেজ বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। দিনের আবহাওয়া বেশ গরম থাকলেও রাত গভীর হলে শুরু হয় শীতের তীব্রতা।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। বুধবার যা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।এদিকে, দিনের তাপমাত্রা বেশি থাকায় শীতের দুর্ভোগ এখনো শুরু হয়নি।
বর্তমানে জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। পঞ্চগড়ে সাধারণত নভেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শীতের তীব্রতা অনুভূত হয়। জেলায় শীতের মৌসুমজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে।
এবারও প্রায় প্রতিদিনই এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। তবে সকাল ৮টার মধ্যেই ঝলমলে রোদের দেখা মিলছে। এদিকে, দিনে গরম আর রাতে কনকনে শীতের কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাই। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা সর্দি, জ্বর, কাশি, নিউমনিয়া ও ডায়রিয়ায় রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
উপজেলা সদরের হাফিজাবাদ এলাকার ছয়ফুল ইসলাম বলেন, আমার ষাটোর্ধ বাবার হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। দ্রুত তাকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করাই। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পর এখন তিনি সুস্থ।
ঠান্ডার কারণে এমনটা হয়েছিল বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রতিদিন তাপমাত্রা কমছে এবং শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মনোয়ার হোসেন বলেন, দিনে গরম এবং রাতে শীতের কারণে প্রতি বছরের মতো এবারও শিশু ও বয়স্করা শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এসময়ে শিশুদের ধুলাবালি এড়িয়ে চলা দরকার। সন্ধ্যার পর কারণ ছাড়া বাইরে না থাকা এবং বাসি-ঠান্ডা খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।