মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর আগুনের ঘটনায় একে একে পুরো পরিবারের চারজনই মারা গেলেন। প্রথমে দুই শিশু, পরে তাদের বাবা এবং সর্বশেষ তাদের মা শান্তা বেগমও (২৮) চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শান্তা বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালের আইসিইউতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র।
জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের মোক্তারপুর এলাকার একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে শান্তা তার স্বামী ও তার দুই সন্তান দগ্ধ হলে তাদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শান্তা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে ৪৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে ছেলে মো. ইয়াসিন (৬) মেয়ে নুহু (৩) ও স্বামী মো. কাওছার (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে পরিবারের চারজনই মারা গেলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্পের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মুন্সীগঞ্জের মোক্তারপুর থেকে একই পরিবারের শিশুসহ ওই চারজন এসেছিলেন। শান্তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে পরিবারের চারজন সদস্যই মারা গেলেন।